পৃথিবীর আশ্চর্য ও সুন্দর আবিস্কারের নিদর্শনস্বরূপ কিছু ভবনের চিত্র আমরা এই আলোচনায় তুলে ধরছি। গত দুই পর্বে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, চায়নার এমনই কিছু ভবনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। আজ তার তৃতীয় পর্ব।
* দ্য ন্যাশনাল স্টেডিয়াম অফ বেইজিংঃ বিশ্ব বিখ্যাত এই
স্টেডিয়ামটি 'বার্ডস নেস্ট' নামেও পরিচিত। এখানেই ২০১২ সালে আলেম্পিক
অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টিলের স্থপতি এটি। ২০০৩ সালে স্টেডিয়ামটি
তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পর ২০০৮ সালে এটি চালু করা হয়। এটা তৈরি করতে প্রায়,
৩৩ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। এখানে ৮০,০০০ দর্শকের স্থায়ী সিটের এবং ১১,০০০
দর্শকের অস্থায়ী সিটের ব্যবস্থা আছে।
* দ্য চার্চ অফ হ্যালগ্রিমারঃ এটি আইল্যান্ডের সবচেয়ে
লম্বা চার্চ, যার হাইট হল, ৭৪.৫ মিটার। (২৪৪ ফিট)। লুথেরাম প্যারিস চার্চ
নামক এই চার্চটি ৩৮ বছর লেগেছে তৈরি করতে। এর কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৪৫ সালে,
এবং শেষ হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। এটি তৈরি করতে ৫২৭৫টি পাইপ লেগেছিল, যাদের দৈঘ্য
ছিল ১৫ মিটার আর ওজন ছিল ২৫ টন। এটি র্যেইকজেভিক শহরের মধ্যবর্তী জায়গায়
তৈরি করা হয়েছে।
* এয়ার ফোর্স একাডেমী চ্যাপেলঃ এই বিল্ডিংটি ১৯৬২ সালে
তৈরি হয়। আমেরিকার এয়ার ফোর্স একাডেমীর ক্যাডেট এলাকার প্রধান বৈশিষ্ট্যের
নিদর্শন এটি। এটি ১৫০ফিট লম্বা, এবং এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ৩
বছর। এই একাডেমীর ডিজাইনার হলেন ওয়াল্টার এ নেটসচ্যাঁ। তিনি ১৯৪৩ সালে
প্রকৌশলী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মিতে যোগদান করেন, এবং তার বয়স তখন ৩৪
যখন তিনি চ্যাপেলের ডিজাইন শেষ করেন। দর্শনার্থীদের জন্য চ্যাপেল সোমবার
থেকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা এবং রবিবারে দুপুর ১টা থেকে ৫টা
পর্যন্ত খোলা থাকে।
* ওয়াল্ডস্পাইরালঃ জার্মানিতে ওয়াল্ডস্পাইরালের মানে হল,
ফরেস্ট স্পাইরাল। এর বাঁকানো দেয়ালের সাথে জঙ্গলের ছাদের কারনেই এধরনের নাম
দেয়া হয়েছে। ১৯৯০ সালে এটি তৈরির কাজ শুরু হয় এবং ২০০০ সালে শেষ হয়। এখানে
১০৫টি এপার্টমেন্ট আছে, পার্কিং গ্যারেজসহ ক্যাফে ও বার আছে। এর ভিতরের
আঙ্গিনায় বাচ্চাদের খেলার জায়গা আছে। ১২ তলার এই ভবনটিতে ১০০০ টি জানালা
আছে।
* এক্সপেরিয়েন্স মিউজিক প্রোজেক্টঃ ভবনটি আমেরিকার মিউজিক
ইতিহাসের একটি মিউজিয়াম। ভবনটি প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েছে, তার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হল, সবচেয়ে বাজে ১০টি ভবনের মাঝে এর নাম থাকা। এটি ১৪০,০০০
স্কয়ার ফুট এলাকা নিয়ে তৈরি।
0 comments: