Test Footer 2

Slider[Style1]

DSLR কিনতে সাবধান!


DSLR কিনতে সাবধান!,  DSLR কিনতে সাবধান!

ফটোগ্রাফি এখন অনেক বড়সড় একটা শখ। আর ফটোগ্রাফির জন্য দরকার ক্যামেরা। আর একটু প্রফেশনাল লেভেলে ফটোগ্রাফি করতে গেলে DSLR ক্যামেরা ছাড়া কিছু ভাবাই যায় না। আমাদের দেশে DSLR এখন অনেক সহজ্লভ্য হয়ে গেছে আর মানুষও কিনছে ধুমসে। আর এরই সুযোগ নিয়ে কোথা থেকে জানি উদ্ভব হয়েছে কিছু অসাধু ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী। তারা কিভাবে মানুষকে ঠকাচ্ছে? 



খুব সহজ! আপনাকে ধরিয়ে দেবে পুরানো ক্যামেরার বডি আর লেন্স। এভাবে অনেক প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারও ধরা খেয়ে যায়। আর লেন্সের ব্যাপারটা হলো – অনেক ক্যামেরা ব্যবসায়ী আছে যারা লেন্স ভাড়া দেন। অনেকদিন ভাড়া দেয়ার পর তারা সেই লেন্সগুলো নতুন বলে ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেন। অরিজিনাল প্যাকেজিং বা একেবারে ইন্টেক্ট প্যাকেজিং এ ক্যামেরা পাওয়া দুস্কর কিন্তু বিক্রেতারা আপনাকে বোঝাবে “ভাই এগুলো লাগেজ প্রোডাক্ট, প্যাকেট ছাড়া আসে”। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যি হলেও অনেকেই ফাদে পড়ে যান পুরানো ক্যামেরা কিনতে গিয়ে। কারন ক্যামেরার শাটার কাউন্ট হিসেব করা অন্তত দোকানে সম্ভব না। আর অনেকেই জানেন না কিভাবে কি করতে হয়। আর নব্য ফটোগ্রাফাররাই এর শিকার বেশী হয়। আর ভাড়ায় দেয়া লেন্স বা ক্যামেরার বডি বিক্রি করা এখন অত্যাধিক পরিমানে বেড়ে গেছে। আবার একটু ভাল দোকানে গেলে দেখা যায় যে ক্যামেরার দাম ৫০,০০০ হাজার টাকা সেটি ১৫ হাজার টাকা বেশী দামে বিক্রয় হচ্ছে আর এক এক দোকানে এক এক রকম দাম। আসলে যার যেমন খুশী সে তেমন দামে বিক্রি করে। কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই।

ক্যামেরা কেনার সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন একেবারে সিল করা প্যাকেটে ক্যামেরা নেয়ার জন্য আর লেন্স কেনার ক্ষেত্রে আরও ভাল ভাবে দেখে নিবেন লেন্সের জয়েন্টে কোন ধরনের দাগ আছে কিনা। আর মোটামুটি সব ক্যামেরাই ২/১ টা কিট লেন্স সহ প্যাকেজে আসে কিন্তু দেশের কিছু ব্যবসায়ী সেই কিটলেন্সগুলোও আলাদা করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশেষ করে 18-55mm লেন্সটি বেশীরভাগ ক্যামেরার সাথে কিট লেন্স বা প্যাকেজ হিসেবে আসে। অনেক সময় একটা জুম ম্যাক্র লেন্সও থাকে স্ট্যান্ডাডর্ প্রাইজে। আর ভাড়ায় দেয়া প্রাইম লেন্সগুলো কিনে ঠকবেন না দয়া করে।
, প্যাকেট ছাড়া আসে”। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যি হলেও অনেকেই ফাদে পড়ে যান পুরানো ক্যামেরা কিনতে গিয়ে। কারন ক্যামেরার শাটার কাউন্ট হিসেব করা অন্তত দোকানে সম্ভব না। আর অনেকেই জানেন না কিভাবে কি করতে হয়। আর নব্য ফটোগ্রাফাররাই এর শিকার বেশী হয়। আর ভাড়ায় দেয়া লেন্স বা ক্যামেরার বডি বিক্রি করা এখন অত্যাধিক পরিমানে বেড়ে গেছে। আবার একটু ভাল দোকানে গেলে দেখা যায় যে ক্যামেরার দাম ৫০,০০০ হাজার টাকা সেটি ১৫ হাজার টাকা বেশী দামে বিক্রয় হচ্ছে আর এক এক দোকানে এক এক রকম দাম। আসলে যার যেমন খুশী সে তেমন দামে বিক্রি করে। কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই।
ক্যামেরা কেনার সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন একেবারে সিল করা প্যাকেটে ক্যামেরা নেয়ার জন্য আর লেন্স কেনার ক্ষেত্রে আরও ভাল ভাবে দেখে নিবেন লেন্সের জয়েন্টে কোন ধরনের দাগ আছে কিনা। আর মোটামুটি সব ক্যামেরাই ২/১ টা কিট লেন্স সহ প্যাকেজে আসে কিন্তু দেশের কিছু ব্যবসায়ী সেই কিটলেন্সগুলোও আলাদা করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশেষ করে 18-55mm লেন্সটি বেশীরভাগ ক্যামেরার সাথে কিট লেন্স বা প্যাকেজ হিসেবে আসে। অনেক সময় একটা জুম ম্যাক্র লেন্সও থাকে স্ট্যান্ডাডর্ প্রাইজে। আর ভাড়ায় দেয়া প্রাইম লেন্সগুলো কিনে ঠকবেন না দয়া করে।
- See more at: http://black-iz.com/wp/2014/06/24/dslr-%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/#sthash.ciKnmW1B.dpuf
, প্যাকেট ছাড়া আসে”। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যি হলেও অনেকেই ফাদে পড়ে যান পুরানো ক্যামেরা কিনতে গিয়ে। কারন ক্যামেরার শাটার কাউন্ট হিসেব করা অন্তত দোকানে সম্ভব না। আর অনেকেই জানেন না কিভাবে কি করতে হয়। আর নব্য ফটোগ্রাফাররাই এর শিকার বেশী হয়। আর ভাড়ায় দেয়া লেন্স বা ক্যামেরার বডি বিক্রি করা এখন অত্যাধিক পরিমানে বেড়ে গেছে। আবার একটু ভাল দোকানে গেলে দেখা যায় যে ক্যামেরার দাম ৫০,০০০ হাজার টাকা সেটি ১৫ হাজার টাকা বেশী দামে বিক্রয় হচ্ছে আর এক এক দোকানে এক এক রকম দাম। আসলে যার যেমন খুশী সে তেমন দামে বিক্রি করে। কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই।
ক্যামেরা কেনার সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন একেবারে সিল করা প্যাকেটে ক্যামেরা নেয়ার জন্য আর লেন্স কেনার ক্ষেত্রে আরও ভাল ভাবে দেখে নিবেন লেন্সের জয়েন্টে কোন ধরনের দাগ আছে কিনা। আর মোটামুটি সব ক্যামেরাই ২/১ টা কিট লেন্স সহ প্যাকেজে আসে কিন্তু দেশের কিছু ব্যবসায়ী সেই কিটলেন্সগুলোও আলাদা করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশেষ করে 18-55mm লেন্সটি বেশীরভাগ ক্যামেরার সাথে কিট লেন্স বা প্যাকেজ হিসেবে আসে। অনেক সময় একটা জুম ম্যাক্র লেন্সও থাকে স্ট্যান্ডাডর্ প্রাইজে। আর ভাড়ায় দেয়া প্রাইম লেন্সগুলো কিনে ঠকবেন না দয়া করে।
- See more at: http://black-iz.com/wp/2014/06/24/dslr-%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/#sthash.ciKnmW1B.dpuf
, প্যাকেট ছাড়া আসে”। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যি হলেও অনেকেই ফাদে পড়ে যান পুরানো ক্যামেরা কিনতে গিয়ে। কারন ক্যামেরার শাটার কাউন্ট হিসেব করা অন্তত দোকানে সম্ভব না। আর অনেকেই জানেন না কিভাবে কি করতে হয়। আর নব্য ফটোগ্রাফাররাই এর শিকার বেশী হয়। আর ভাড়ায় দেয়া লেন্স বা ক্যামেরার বডি বিক্রি করা এখন অত্যাধিক পরিমানে বেড়ে গেছে। আবার একটু ভাল দোকানে গেলে দেখা যায় যে ক্যামেরার দাম ৫০,০০০ হাজার টাকা সেটি ১৫ হাজার টাকা বেশী দামে বিক্রয় হচ্ছে আর এক এক দোকানে এক এক রকম দাম। আসলে যার যেমন খুশী সে তেমন দামে বিক্রি করে। কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই।
ক্যামেরা কেনার সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন একেবারে সিল করা প্যাকেটে ক্যামেরা নেয়ার জন্য আর লেন্স কেনার ক্ষেত্রে আরও ভাল ভাবে দেখে নিবেন লেন্সের জয়েন্টে কোন ধরনের দাগ আছে কিনা। আর মোটামুটি সব ক্যামেরাই ২/১ টা কিট লেন্স সহ প্যাকেজে আসে কিন্তু দেশের কিছু ব্যবসায়ী সেই কিটলেন্সগুলোও আলাদা করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশেষ করে 18-55mm লেন্সটি বেশীরভাগ ক্যামেরার সাথে কিট লেন্স বা প্যাকেজ হিসেবে আসে। অনেক সময় একটা জুম ম্যাক্র লেন্সও থাকে স্ট্যান্ডাডর্ প্রাইজে। আর ভাড়ায় দেয়া প্রাইম লেন্সগুলো কিনে ঠকবেন না দয়া করে।
- See more at: http://black-iz.com/wp/2014/06/24/dslr-%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/#sthash.ciKnmW1B.dpuf
, প্যাকেট ছাড়া আসে”। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যি হলেও অনেকেই ফাদে পড়ে যান পুরানো ক্যামেরা কিনতে গিয়ে। কারন ক্যামেরার শাটার কাউন্ট হিসেব করা অন্তত দোকানে সম্ভব না। আর অনেকেই জানেন না কিভাবে কি করতে হয়। আর নব্য ফটোগ্রাফাররাই এর শিকার বেশী হয়। আর ভাড়ায় দেয়া লেন্স বা ক্যামেরার বডি বিক্রি করা এখন অত্যাধিক পরিমানে বেড়ে গেছে। আবার একটু ভাল দোকানে গেলে দেখা যায় যে ক্যামেরার দাম ৫০,০০০ হাজার টাকা সেটি ১৫ হাজার টাকা বেশী দামে বিক্রয় হচ্ছে আর এক এক দোকানে এক এক রকম দাম। আসলে যার যেমন খুশী সে তেমন দামে বিক্রি করে। কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই।
ক্যামেরা কেনার সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন একেবারে সিল করা প্যাকেটে ক্যামেরা নেয়ার জন্য আর লেন্স কেনার ক্ষেত্রে আরও ভাল ভাবে দেখে নিবেন লেন্সের জয়েন্টে কোন ধরনের দাগ আছে কিনা। আর মোটামুটি সব ক্যামেরাই ২/১ টা কিট লেন্স সহ প্যাকেজে আসে কিন্তু দেশের কিছু ব্যবসায়ী সেই কিটলেন্সগুলোও আলাদা করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশেষ করে 18-55mm লেন্সটি বেশীরভাগ ক্যামেরার সাথে কিট লেন্স বা প্যাকেজ হিসেবে আসে। অনেক সময় একটা জুম ম্যাক্র লেন্সও থাকে স্ট্যান্ডাডর্ প্রাইজে। আর ভাড়ায় দেয়া প্রাইম লেন্সগুলো কিনে ঠকবেন না দয়া করে।
- See more at: http://black-iz.com/wp/2014/06/24/dslr-%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/#sthash.ciKnmW1B.dpuf
, প্যাকেট ছাড়া আসে”। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সত্যি হলেও অনেকেই ফাদে পড়ে যান পুরানো ক্যামেরা কিনতে গিয়ে। কারন ক্যামেরার শাটার কাউন্ট হিসেব করা অন্তত দোকানে সম্ভব না। আর অনেকেই জানেন না কিভাবে কি করতে হয়। আর নব্য ফটোগ্রাফাররাই এর শিকার বেশী হয়। আর ভাড়ায় দেয়া লেন্স বা ক্যামেরার বডি বিক্রি করা এখন অত্যাধিক পরিমানে বেড়ে গেছে। আবার একটু ভাল দোকানে গেলে দেখা যায় যে ক্যামেরার দাম ৫০,০০০ হাজার টাকা সেটি ১৫ হাজার টাকা বেশী দামে বিক্রয় হচ্ছে আর এক এক দোকানে এক এক রকম দাম। আসলে যার যেমন খুশী সে তেমন দামে বিক্রি করে। কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই।
ক্যামেরা কেনার সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন একেবারে সিল করা প্যাকেটে ক্যামেরা নেয়ার জন্য আর লেন্স কেনার ক্ষেত্রে আরও ভাল ভাবে দেখে নিবেন লেন্সের জয়েন্টে কোন ধরনের দাগ আছে কিনা। আর মোটামুটি সব ক্যামেরাই ২/১ টা কিট লেন্স সহ প্যাকেজে আসে কিন্তু দেশের কিছু ব্যবসায়ী সেই কিটলেন্সগুলোও আলাদা করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেয়। বিশেষ করে 18-55mm লেন্সটি বেশীরভাগ ক্যামেরার সাথে কিট লেন্স বা প্যাকেজ হিসেবে আসে। অনেক সময় একটা জুম ম্যাক্র লেন্সও থাকে স্ট্যান্ডাডর্ প্রাইজে। আর ভাড়ায় দেয়া প্রাইম লেন্সগুলো কিনে ঠকবেন না দয়া করে।
- See more at: http://black-iz.com/wp/2014/06/24/dslr-%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/#sthash.ciKnmW1B.dpuf

ফটোগ্রাফিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ !

ফটোগ্রাফিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ !

এই মুহুর্তে দেশের অন্যতম সেরা ক্রেজ হলো ফটোগ্রাফি। তরুন প্রজন্ম ঝুকছে ফটোগ্রাফির নেশায়। সহজলভ্য ক্যামেরা এবং সৃজনশীলতা বাংলাদেশের ফটোগ্রাফিকে দিয়েছে এক অন্যরকম রুপ। আগে বিদেশী ফটোগ্রাফারদের তোলা ছবি দেখেই দিন কাটিয়ে দিতে হতো কিন্তু এখন দেশীয় ফটোগ্রাফারের ছবিতে পরিপুনর্ থাকে সামাজিক নেটওয়ার্ক। আর বাংলাদেশেরই অনেক ফটোগ্রাফার ইতিমধ্যে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এগুলো সবই ভাল দিক। আর ফটোগ্রাফি হতে পারে নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। আর এই ফটোগ্রাফিকে করা যেতে পারে অনেক বড় একটি পেশা। আর অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন অনেকেই আজকাল নির্দ্দ্বিধায় ফটোগ্রাফিকে বেছে নিচ্ছে নিজের পেশা হিসেবে।

তবে পরিপক্কভাবে যদি ফটোগ্রাফিকে একমাত্র পেশা হিসেবে বেছে নেয়া হয় তবে এই ব্যাপারে কিছু জ্ঞান থাকার মুল্য অপরিসীম। বাংলাদেশে এর মধ্যেই ফটোগ্রাফি নিয়ে খুলে গিয়েছে অপার সম্ভাবনার দ্বার। ফ্যাশন ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি, ফটো স্টোরি – এগুলো ফটোগ্রাফির কিছু রুপ মাত্র। প্রতিনিয়ত হচ্ছে নানা রকমের এক্সিবিশন আর নানা রকম প্রতিযোগিতা। এমনকি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও কোনভাবে পিছিয়ে নেই আমাদের দেশের ফটোগ্রাফিরা আর তার জন্য তাদের যেতে হচ্ছে দেশের বাইরে। আমাদের দেশের ছবি নিয়ে আসছে বড় বড় সব পুরস্কার। আর ইন্টারনেটের এই যুগে আন্তর্জাতিক এসব ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করা কোন ব্যাপারই না। ন্যাশনাল জিওগ্রাফী বা 500px এর মত নামকরা সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত আয়োজন করে যাচ্ছে নানা রকম প্রতিযোগিতার আর এসব প্রতিযোগিতায় অনলাইনেই অংশগ্রহন করা যায় এবং বেশীরভাগ সময়ে কোন ধরনের খরচ হয় না। সেই সাথে পালা দিয়ে দেশেও হচ্ছে নানা রকম ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। নানা বড় বড় প্রতিষ্ঠান ইদানীং স্পন্সর করতে রাজী হচ্ছে নানা রকমের এক্সিবিশন আর প্রতিযোগিতা। 

ফটোগ্রাফি ব্যাপারটাই হলো পুরোটা নিজের উপর বিশেষ করে নিজস্ব সৃজনশীলতার উপরে। একটা ক্যামেরা আর দেখার মত এক জোড়া চোখ – ফটোগ্রাফিতে আর তেমন কিছুই দরকার হয় না। ফ্রেমিং ব্যাপারটাই আসলে মুল জিনিষ এই ফটোগ্রাফিতে। ফ্রেমিং এর পরে আসে লাইটিং, সাবজেক্ট, ফটো স্টোরি ইত্যাদি। আমার মতে প্রতিটি ছবির থাকা উচিত একটা আলাদা গল্প।

ফটোগ্রাফি যখন পেশাঃ

ফটোগ্রাফি কিভাবে আপনার পেশা হতে পারে? অনেক ধরনের পেশাই হতে পারে একটি ক্যামেরা হাতে নিয়ে। তবে সাথে থাকতে হবে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং সৃজনশীলতা। যেমন ওয়েডিং ফটোগ্রাফি এই মুহুর্তে বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় একটি পেশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করে শুরুতে মাসে ২৫-৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে একটি পর্যায়ে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা খুব একটা কঠিন ব্যাপার হবে না। যদি ফটোগ্রাফিক স্কিল ভাল থাকে আর নিজের সুনাম বজায় রাখতে পারেন তাহলে অচিরেই পৌছে যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে।

ওয়েডিং ফটোগ্রাফির পরে আসে ফটো জার্নালিজম আর থিম ফটোগ্রাফি। এরপর আসতে পারে স্ট্রিট ফটোগ্রাফি। এমনকি অনলাইনে নিজের তোলা অসাধারন ছবিগুলো বিক্রি করা যায় অনায়াসেই। একটি ইউনিক ছবি সবারই পছন্দ আর ইন্টারনেটের বদৌলতে আপনার তোলা অসাধারন সব ছবি অনায়াসেই পৌছে যায় মানুষের কাছে। অনেক ওয়েবসাইট বাধাই করে এসব ছবি বিক্রি করে নানা ক্রেতার কাছে বেশ ভাল দামে। ফটোগ্রাফারদের উচিত বেশী করে আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহন করা। আর সবাই করছেও। কয়েকটি ভাল এক্সপোজিউর থাকলে এই পেশায় সাফল্যের শিখরে পৌছে যাওয়া কোন ব্যাপারই না।

এসবের পরেই আসে ফ্যাশন ফটোগ্রাফি এবং প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি। ফ্যাশন ফটোগ্রাফির কথা আর না বললেও চলবে কারন আপনারা ইতিমধ্যে সবই জানেন আর প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি হলো নানা রকম পন্যের ফটোগ্রাফি। সেটি কোন প্রতিষ্ঠানের পন্যের হতে শুরু করে অনলাইন শপ এর পন্যের জন্য হতে পারে কোন ছবি। নতুন নতুন পন্য গুলো সবচেয়ে ভাল অবস্থায় সবার সামনে তুলে ধরাই প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি। এগুলোর পরেও আরো থাকে ইভেন্ট ফটোগ্রাফি এবং অন্যান্য। মোট কথা এই পেশার বিশালত্ব অনেক বড়। কিন্তু তার জন্য থাকতে হবে বিশেষ কিছু জ্ঞান। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ডিগ্রীর দরকার না থাকলেও কিছু বেসিক ব্যাপার থাকে যেগুলো না জানলেই নয়। টেকনিক্যাল এসব ব্যাপার যদি ঠিক মত জানা থাকে আর সেই সাথে যতি অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে কিছু টিপস পাওয়া যায়, তাহলে আপনিও হয়ে উঠ্তে পারেন একজন পাকাপোক্ত ফটোগ্রাফার।

ই কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন করবেন ? আগে জেনে নিন !

ই কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন

ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স বা ই-বানিজ্য একটি বানিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেম (ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওইয়ার্ক) এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মাধ্যমে বানিজ্য কাজ পরিচালনা করে। এছাড়াও মোবাইল কমার্স, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ও অন্যান্য আরো কিছু মাধ্যম ব্যবহৃত হয়। উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশেও ই-কমার্স ব্যবসা দ্রুত জনপ্রিয়টা পাচ্ছে।


দুনিয়া ব্যাপী ই কমার্স ভিত্তিক ব্যাবশা ক্রমেই বাড়ছে । সারা বিশ্বে অনলাইন লেনদেনের বাড়ার কারণে এ অর্থনীতির গতি ও আকার বড় হচ্ছে । অনলাইনে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডপে তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে, জানায় বিজনেস টেকে । ২০১২ সালে বৈশ্বিক ই-কমার্স বাজারের আকার ছিল ১৭০ কোটি ডলারের। ওয়ার্ল্ডপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অনলাইনে পণ্য ও সেবা কেনার জন্য ব্যাংকনির্ভর যে কার্ডসেবা (ডেবিট-ক্রেডিট) প্রচলিত রয়েছে, ২০১৭ সালে তার বিকল্প কিছু পদ্ধতিতে ই-কমার্স বাজারের ৫৯ শতাংশ লেনদেনই সম্পন্ন হবে। ওয়ার্ল্ডপের মতে, বিকল্প লেনদেন পদ্ধতিগুলো হবে, অনলাইন (রিয়েল-টাইম) ব্যাংক ট্রান্সফার, ডিরেক্ট ডেবিট, ই-ওয়ালেট ও মোবাইল।
বাংলাদেশে ই-কমার্সবর্তমান অবস্থায় নিজের ব্যাবশাইক অবস্থান ধরে রাখার জন্য ই-কমার্স ছাড়া আধুনিক কন অপশন নেই বললে ভুল হবে না । ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স হলো সেই একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসাকে নিমেষই ছড়িয়ে দিতে পারেন সারা দুনিয়ায় । বলা হয়ে থাকে, ভবিষ্যতে পৃথিবীর সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য এক সময় ই-কমার্সের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ই-কমার্সের ব্যবহার। বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রভাব হয়তো এখনো পুরোপুরি পড়েনি। তারপরও বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যবসাই এখনো প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের উচিত দ্রুত এ প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে সবাইকে ই-কমার্সের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায় বিশ্ববাজারে বাজার হারাবে বাংলাদেশ । বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্পসহ বেশকিছু পণ্য এখনো বিশ্ববাজারে খুবই সমাদৃত । একে পুরোপুরি ই-কমার্সের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন, না হলে বিশ্ববাজারে নিজ অবস্থানে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। ই-কমার্সের আওতায় সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য চালালে বাইরের দেশের লোকেরা খুব সহজে আমাদের নিজেদের দেশের পণ্যের সঙ্গে অন্যান্য দেশের তুলনা করতে পারবে এবং অপেক্ষাকৃত সস্তা বলে আমাদের দেশের পণ্যের বাজারজাত আরও বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আমাদের দেশে স্থানীয় বাজারের জন্য ই-কমার্সের ব্যাপক প্রচলন প্রয়োজন। এতে খুব সহজে ঘরে বসে বিস্তর বিবেচনা করে সবকিছু কেনাকাটা করতে পারব। সর্বোপরি ই-কমার্সের প্রচলন করার জন্য সরকারি এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বাস্তবায়িত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রা।

কেমন হবে ২০৫০ সালের পৃথিবী ? থাকবে কৃত্রিম শয্যাসঙ্গী!

কেমন হবে ২০৫০ সালের পৃথিবী! বর্তমানের বাস্তবতায় ভবিষ্যতের পৃথিবীর কথা ভেবে অনেকেই চিন্তিত। জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ধিত জনসংখ্যা আর সঙ্কুচিত হতে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদের কথা ভেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুখ-স্বাচ্ছ্যন্দের ব্যাপারে অনেকেই সন্দিহান। 


তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, গবেষকরা জানিয়েছেন পরবর্তী প্রজন্ম অনেক আরাম আয়েশেই থাকবে।
যুদ্ধবিগ্রহ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির মত সমস্যা তো থাকবেই, কিন্তু সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবিকাশে উঁকি দেবে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। 
 
গবেষকদের মতে ২০৫০ সার নাগাদ বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির মিলিত উৎকর্ষে মানুষের জীবনযাত্রা হবে অনেক বেশি চিত্তার্ষক। গাড়ি চালাতে লাগবে না চালক, প্রেমিকা না জুটলেও অসুবিধা নেই, মিলবে কৃত্রিম প্রেমিকা, এমনকি অমরত্ব লাভের সুযোগও থাকবে সেই প্রজন্মের সামনে।
 
২০৫০ সালে পৃথিবীর জীবনযাত্রা কেমন হবে তার একটি রূপকল্প তুলে ধরেছে খ্যাতনামা সাময়িকী ‘বিজনেস ইনসাইড’। সেই রূপকল্প অবলম্বনে কেমন হতে পারে ভবিষ্যতের পৃথিবী তার একটি কথাচিত্র তুলে ধরা হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।
কেমন হবে ২০৫০ সালের পৃথিবী ? থাকবে কৃত্রিম শয্যাসঙ্গী!
পূর্ণ হবে অমরত্ব লাভের স্বপ্ন!
আগামী দশকগুলোতে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন কম্পিউটারে মানব মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করতে সফল হবেন তারা । এর মাধ্যমে আজীবনের জন্য কৃত্রিম শরীরের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবে মানুষ, পূর্ণ হবে অমরত্বের স্বপ্ন!
রাশিয়ান ধনকুবের দিমিত্রি ইসকোভের অর্থায়নে নিউরোসাইন্টিস্ট র‌্যান্ডাল কোয়েন চেষ্টা করছেন মানব চেতনা ও মস্তিষ্ককে যেন আগামী ২০৪৫ সালের মধ্যে কৃত্রিম শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়।
 
এমনকি এখন যারা বেঁচে আছেন তারা মারা গেলেও এক সময় নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে তারা বেঁচে উঠবেন, কৃত্রিমভাবে সংরক্ষিত নিজেদের মস্তিষ্কের সাহায্যে। এমন আশার কথা শোনাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
 
এজন্য বিজ্ঞানীরা এখন গবেষণা করছেন কেমিক্যাল সলুশনের মাধ্যমে কিভাবে মস্তিষ্ককে অনন্তকাল সতেজ রাখা যায়।
এ ব্যাপারে ব্রেন প্রিসার্ভেশন ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানী কেনেথ হেইওয়ার্থ বলেন, আমরা যদি মস্তিষ্ককে আজীবন সংরক্ষণের উপায় বের করতে পারি তাহলেই সম্ভব হবে দ্বিতীয় উপায়। এমনকি ২০১৫ সালের মধ্যেই মস্তিষ্ককে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের নতুন উপায় আবিষ্কার হবে বলেও তার ধারণা।
 
বের হবে এইডস আর ক্যান্সারের প্রতিষেধক!
যদিও আমরা জানি না ভবিষ্যতে আর কোন ধরনের রোগ আমাদের সামনে হুমকি হিসেবে দেখা দেবে, তবে ২০৫০ সালের মধ্যে এখনকার সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগগুলো থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এমনকি উদ্ভাবিত হবে ক্যান্সার ও এইচআইভি প্রতিষেধকও!
 
গবেষকরা আশাবাদী আগামী ২০ বছরের মধ্যে তারা এমন টিকা আবিষ্কার করতে পারবেন যার দ্বারা এইডস প্রতিরোধ সম্ভব। বর্তমানে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ লোক মারা যায় এইডস রোগে।
 
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল অব লাইসেস্টার এনএইচএস ট্রাস্টের কনসালট্যান্ট মার্টিন উইসেলকা এ ব্যাপারে বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের গবেষকরা এমন প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারবেন যার মাধ্যমে এইচআইভি’র মত ভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে।
 
ক্যান্সারও নির্মূল হবে। উদ্ভাবিত ন্যানোপার্টিক্যাল ক্যানসার স্টেম সেলে আক্রমণ চালিয়ে ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করবে। উদ্ভাবিত হবে ক্যান্সার ভ্যাক্সিন।
 
তাছাড়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে দূর হবে ম্যালেরিয়ার মত রোগ। প্রতিষেধকের পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার বাহক মশাদের ধ্বংস করতে উদ্ভাবন হবে জেনেটিক্যালি মডিফাই মশা। আলঝেইমার রোগেরও কারণ ও প্রতিকার বের হবে। মেনিনজাইটিস রোগের প্রতিষেধক ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
মিলবে কৃত্রিম প্রেমিকা!
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরও ইতিবাচক প্রয়োগ হবে। কার্নেগি মেলোন ইউনিভার্সিটির রোবোটিক ইন্সটিটউটের হ্যান্স মোরাভেক বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে স্বাধীনভাবে ঘুড়ে বেড়ানো রোবোট মানুষের শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ অনেক অনেকটাই কমিয়ে দেবে। বেঁচে যাওয়া এই সময় মানুষকে সুযোগ করে দেবে আরও বেশি করে সামাজিক ও বিনোদনমূলক কাজে সম্পৃক্ত হবার। এছাড়া গবেষণাগারে কাজ করতে দেখা যাবে রোবোট বিজ্ঞানীদের।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে উদ্ভাবিত হবে আবেগ অনুভূতি সম্পন্ন রোবোট। এমনকি রোবোট হবে মানুষের শয্যাসঙ্গী। মানুষ তার জৈবিক চাহিদা মেটাবে কৃত্রিম মানুষের মাধ্যমে।  মানুষের মতই যৌন আচরণ করতে পারবে তারা।
 
২০৫০ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের এ যাবৎকালের অর্জিত জ্ঞান বিজ্ঞানকে ধারণ করতে সক্ষম হবে। তাদের মানুষের মত অনুভূতি থাকবে, এমনকি বুদ্ধিমত্তার সাথে কথাবার্তা চালানোর পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে সম্পর্কও তৈরি করবে তারা।
ইন্টারনেটের জালে ধরা পড়বে পুরো বিশ্ব!
২০৫০ সাল নাগাদ ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে বিশ্বের সর্বত্র। ব্যবহারকারী হবে বিশ্বের প্রায় সবাই।
ফোরাম ফর দি ফিউচার ফাউন্ডারের গবেষক জোনাথন পোরিট ধারণা করছেন ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯৮ ভাগ বা ৮শ’ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে, যার অনেকেই সংযুক্ত হবেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। বর্তমানে বিশ্বের ৪০ শতাংশ লোক ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আছেন। 
গুগলসহ বিশ্বের আরও অনেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই সারা বিশ্বের সবখানে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।
গাড়ি চলবে নিজের বুদ্ধিতে !
আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই যানবাহনের জন্য কোনো ড্রাইভারের প্রয়োজন হবে না। মিলকেন ইন্সটিটউটের তথ্য মোতাবেক ২০৩৫ সালের মধ্যেই পৃথিবীর সব গাড়ি হবে চালকমুক্ত। মানবীয় ভুলের সম্ভাবনা না থাকায় এই সব চালকবিহীন গাড়ি হবে বেশি নিরাপদ।
এছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির জয়জয়কার হবে। ইতালীয় জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনেলের মতে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি বছর বিশ্বে ইলেক্ট্রিক গাড়ির উৎপাদন দাঁড়াবে ১০ কোটিতে। যা সারা বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের ৩০ শতাংশ হ্রাস করবে। 
শিশুর অকাল মৃত্যু আর হবে না !
চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষের যুগেও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি দূর হয়নি পৃথিবী থেকে। এখনও বিশ্বের দেশে দেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন চলতি শতকের মাঝামাঝি নাগাদ এ অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছে পৃথিবী। গবেষণা সংস্থা কোপেনহেগেন কনসেনসাসের পূর্বাভাস অনুযায়ী পূর্ববর্তী কয়েক দশকে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে শিশু মৃত্যুর হার দ্রুতগতিতে কমে এসেছে, এই ধারা আরও গতিশীল হবে পরবর্তী কয়েক দশকে।
 
ইউনিসেফের তথ্য মোতাবেক ১৯৯০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি হাজারে ৯০ থেকে ৪৮। ২০৫০ সালের মধ্যে এই হার নেমে আসবে প্রায় শূণ্যের কোঠায়। এই সময়ের মধ্যে আবিষ্কার হবে মায়ের থেকে শিশুদের এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায়। পাশাপাশি পুষ্টিহীনতা ও রোগ প্রতিরোধের নতুন নতুন পন্থা আবিষ্কৃত হবে এই সময়ের মধ্যে যা জন্মের পরপরই শিশুর মৃত্যুর সম্ভাবনাকে তিরোহিত করবে অনেকখানিই।
গরিব দেশ আর গরিব থাকবে না !
২০৩৫ সালের মধ্যেই ‘গরিব’ এমন অপবাদ থেকে মুক্ত হবে এখনকার অনেক ‘গরিব দেশ’। গত বছর এমন পূর্বাভাস করছিলেন বিল গেটস। গবেষকরা জানাচ্ছেন আসলেই সম্ভব হবে বিল গেটসের স্বপ্ন। ২০৫০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর কথিত গরিব দেশগুলো তাদের গরিবী তকমা ছুড়ে ফেলতে পারবে।
 
ধারণা করা হচ্ছে, যদি স্বল্পোন্নত দেশগুলো তাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখে তবে ২০৫০ সালে চরম দরিদ্র লোকের সংখ্যা ২.৫ শতাংশে নেমে আসবে। বর্তমানে এই হার ২১ শতাংশ।
গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমবে ৮০ ভাগ !
২০৫০ সালের মধ্যে বাড়বে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত জ্বালানির ব্যবহার। গ্রিসহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমবে ৮০ ভাগ। বাড়বে রিনিউবেল এনার্জির ব্যবহার। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবার কাছে প্রয়োজনীয় জ্বালানি পৌঁছে যাবে, যার ৯৫ শতাংশই হবে রিনিউবেল এনার্জি।
 
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে সৌরশক্তি থেকে। ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বায়ুশক্তি থেকে। এছাড়া সাগরের ঢেউ এবং জিয়োথার্মাল পাওয়ারের মাধ্যমেও উৎপাদিত হবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি।
নারী পুরুষ সমানে সমান
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মোতাবেক ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব থেকে দূর হবে লিঙ্গ বৈষম্য। নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূর হয়ে সমাজে বিরাজ করবে সামাজিক সমতা।
সন্তানকে দেখাশোনার পাশাপাশি পারিবারিক কাজে সমান সমান সময় দিতে হবে নারী পুরুষকে। নারীরা যে কোনো কাজে পুরুষের সমান অনুপাতে অংশগ্রহণ করবে এবং সমান বেতন পাবে। 
নিরক্ষরতা হবে দূর
বর্তমানে বিশ্বের ২৩.৬ শতাংশ লোক লিখতে পড়তে জানেন না। কিন্তু কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টারের মতে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই হবে লেখাপড়া জানা। নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা নেমে আসবে মাত্র ১২ শতাংশে। এ সব শিক্ষিত মানুষ ভূমিকা রাখবেন স্ব স্ব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে।
এ সব ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যিই বাস্তবে পরিণত হয় তবে ভাবুন তো কেমন হবে ২০৫০ সালের পৃথিবী। অনেকের কি আফসোস হচ্ছে না কেন এত তাড়াতাড়ি এলাম এ পৃথিবীতে, এই ভেবে !

ফেইসবুকে শেয়ার করা উচিত নয় যে ৫টি তথ্য !

ফেইসবুকে শেয়ার করা উচিত নয় যে ৫টি তথ্য !
ফেইসবুকে শেয়ার করা উচিত নয় যে ৫টি তথ্য ! 
অনেকের জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক। ফেইসবুকের মাধ্যমে এখন সবার সাথে যোগাযোগ বা আলাপ-আলোচনা কিংবা নিজের কাজ-চিন্তা সবকিছুই শেয়ার করে চাঙ্গা থাকছেন সবাই। বেশির লোকই মনে করেন তারা যা শেয়ার করছেন সেগুলো নিজের বন্ধুদের জন্য কিন্তু কেউ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অন্য কেউ এটি পড়ছে কি না তা জানা যায় না। এই কারণেই কিছু তথ্য এমন রয়েছে যা কখনই ফেইসবুকের স্টেটাসে শেয়ার করবেন না।
নিজের ও পরিবারের পূর্ণ জন্ম তিথি
জন্মদিনের দিন ফেসবুকে প্রত্যেকেই হাজারো শুভেচ্ছা বার্তা পান যা সত্যিই মন ভালো করে দেয়। কিন্তু জানেন কি নিজের জন্ম তিথি ফেসবুকে শেয়ার করে আপনি আপনার একটি গোপন তথ্য সাইবার চোরদের জানিয়ে দিচ্ছেন? যদি ফেসবুকে নিজের জন্ম তারিখ লিখতেই হয় তবে জন্ম সাল একেবারেই লিখবেন না।
রিলেশনশিপ স্টেটাস
আপনি রিলেশনশিপে আছেন কি না তা ফেসবুকে একেবারেই শেয়ার করবেন না। এতে কেউ যদি আপনার উপর নজর রেখে থাকে তবে সে জেনে যাবে আপনি কখন সিঙ্গেল রয়েছেন এবং কখন রিলেশনশিপে রয়েছেন। এতে আপনার বিপদের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
নিজের বর্তমান অবস্থান
বেশকিছু লোক প্রত্যেকটা জিনিষ ফেসবুকে আপডেট করেন। তারা বেশির ভাগ সময়েই কোথায় রয়েছেন তাও লোকেশনের সঙ্গে ট্যাগ করে দেন। এতে সকলেই জানতে পারেন আপনি কখন কোথায় রয়েছেন। যদি আপনি জায়গায় নাম ট্যাগ করে লিখে দেন যে ছুটিতে যাচ্ছেন তবে আপনার ক্ষতি করার কথা যদি কেউ ভেবে থাকে তবে সে আপনার সম্পর্কে গোটা তথ্যটাই পেয়ে যাবে। নিজের ছুটির কথা ও ছুটির ছবি অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করুন কিন্তু তা অবশ্যই বাড়ি ফেরার পর।
আপনি বাড়িতে একা আছেন
অভিভাবকেরা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার সন্তান ফেসবুকে বাড়িতে একা থাকার কথা যেন কখনই না শেয়ার করে। এতে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকেরা এই খবরটি পেয়ে যাবে এবং তারা এই সুযোগের দুর্ব্যবহার করতেই পারে।
নিজের বা সন্তানের ছবি তাদের নামের সঙ্গে ট্যাগ করা
বেশির লোকই তাদের সন্তানের ছবি নাম দিয়ে ট্যাগ করে পোস্ট করেন। কিছু অভিভাবক সন্তানের জন্মের পরই তাঁর ছবি হাসপাতালের ঠিকানা লিখে স্ট্যাটাস আপডেট করেন। বন্ধু, আত্মীয়দের ছবিও অনেকেই পোস্ট করেন ও ট্যাগ করেন। এটা একেবারই ঠিক নয়। ফেসবুকে ছবি আপলোড করলেও চেষ্টা করবেন সেটি অন্য কাউকে ট্যাগ না করার।

যে মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোটা ভুল হবে আপনার জন্য !

মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো

ড়াশোনা শেষ। ভালো চাকরি পেয়েছেন। ভাবছেন কিছুদিন প্রেম করি তারপর বিয়েটা সেরে নেবো। আপনার চারপাশেই রয়েছে কত না সুন্দরী আর স্মার্ট মেয়ে! তবে তাদের কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার আগে একটু ভাবুন। সব মেয়েই কিন্তু আপনার সঙ্গে কেবল প্রেম বা বিয়ে করার জন্য সম্পর্ক করবে না। তাই সম্পর্কে জড়ানোর আগে বাংলামেইলের এই প্রতিবেদনটি অন্তত একবার পড়ুন!!
এরা শুধুই বন্ধু
এসব মেয়েরা আপনার সঙ্গে ঘুরবে, টেলিফোন করবে। ব্যস এ পর্যন্তই। এদের ওপর আপনি কখনো ভরসা করতে পারবেন না। এরা আপনার জন্য উপযুক্ত মেয়ে নয়। কারণ আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন সে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথাটা কখনোই আপনার পরিবার বা বন্ধুদের কাছে স্বীকার করবে না। তাই এদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো মানে নিজের সময় নষ্ট করা। এ ধরনের মেয়েরা যে কোনো সময় সম্পর্ক অস্বীকার করে বলতে পারে, ‘আমি তো এমনি এমনি ঘুরেছি’। বা নাটকের সংলাপের মতো ‘তুমি স্রেফ বন্ধু, অন্যকিছু নও।’
গায়ে পড়া স্বভাব
আর এক ধরনের মেয়ে আছে যাদের সবকিছুতেই একটু বাড়াবাড়ি। এ রকম স্বভাবের কোনো মেয়ের পাল্লায় পড়লে আপনার জীবন নরক হয়ে যাবে। তাদের ভালোবাসার যন্ত্রণায় এক মিনিট শ্বাস নেয়ার ফুরসত পাবেন না। ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর ফোন করবে। ফোন না ধরলে ম্যাসেজ দিয়ে দিয়ে আপনার মোবাইল বোঝাই করে ফেলবে। তারপর ফেসবুক তো আছেই। না, কোনো স্বাধীনতাই আপনি পাবেন না। এমনকি দিনে কয়বার বাথরুমে গিয়েছিলেন সেটাও তাদের জানা চাই। কেবল ওই আবেগঘন সম্পর্কটা শেষ হওয়ার পরই আপনি স্বস্তি পেতে পারেন!
তার টাকা আমার টাকা
এদের জীবনে টাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কারণে তারা সম্পর্ক করার সময়ই আপনার মানিব্যাগের সাইজের ওপর নজর রাখবে। কারণে অকারণে সুন্দরী তরুণীটি আপনার টাকা ওড়াতে থাকবেন। বাধা দিলে রাগারাগি, মন খারাপ। এদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে গেলে আপনাকে টাকা খরচ করতেই হবে। কেননা তাদের কাছে আপনি বা আপনার ভালোবাসা সবসময়ই সেকেন্ডারি বিষয়।
বাড়াবাড়ি রকমের রূপসী
এরা দেখতে বেশ সুন্দরী, কিন্তু ভিতরটা ফাঁপা। তারা দামি পোশাক পরবে, নিজেকে সুন্দর করে সাজাবে। ফলে এসব মেয়ে সহজেই নজর কাড়ে। যে কোনো অনুষ্ঠানে তারাই মধ্যমনি। তাই এরকম কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে আপনার কপালে খারাপি আছে। এমনকি তার কোনো নীরব প্রেমিকের কাছ থেকে ঠ্যাঙানি খাওয়ার আশঙ্কাও নাকচ করে দেয়া যাচ্ছে না। দিনের মধ্যে কমপক্ষে দশবার করে আপনাকে বলতে হবে, ‘তুমি এই নশ্বর পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী কন্যা। বলিউড সুন্দরী ঐশ্বরিয়া বা ক্যাটরিনা তোমার নখের যোগ্যিও নয়।’ তারপরও সবসময় আপনাকে তটস্থ থাকতে হবে। কী জানি ভুল করে কোনো মেয়েদের দিকে তাকালেন বা কারো প্রসংশা করলেন! ব্যাস, তাহলেই হয়েছে।এত ঝামেলার কী দরকার ভাই। এদের এড়িয়ে চলুন, আখেরে আপনারই লাভ!
দোলদোল দুলুনি
এই এক ধরনের মেয়ে, যারা কোনোদিনই বড় হয় না। সারাজীবন বাবা-মায়ের ‘দোলদোল দুলুনি’ হয়ে থাকতে চায়। এদের সঙ্গে প্রেম করেছেন তো মরেছেন। সারাজীবন ধরে ‘নবজাতকের’ মতো তার দিকে আপনার খেয়াল রাখতে হবে। আপনার প্রতিও যে তার কিছু দায়িত্ব আছে সেটা সে কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না। আর কোনদিন রাগ করে কিছু বলেছেন তো তার চৌদ্দগোষ্ঠীর কাছে জবাবদিহি করতে করতে জীবন শেষ। সত্যি বলতে কি এসব ‘ন্যাকুপ্যাকু’ মেয়েদের ওপর কখনো নির্ভর করা যায় না।
গল্পকথার রানী
তিলকে তাল করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। সারাদিন কটরকটর, ফটরফটর। এক মুহূর্তের জন্য ঠোঁট দুটো বন্ধ করতে রাজি নয়। অনেকদিন পর দেখা হয়েছে বা সারা দিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরেছেন। চাইছেন নিভৃতে প্রিয় সঙ্গিনীর সঙ্গে দু’চারটে কথা বলবেন। কিন্ত ‍তার কি আর জো আছে! অমুক কী করল, তমুক কী বলল- রাজ্যের কথা বলে আপনার মাথা ধরিয়ে দেবে। সত্যিকারভাবে বলতে গেলে এদের প্রেমিক বা স্বামীর কোনো দরকার নেই। এদের দরকার কেবল একজন নীরব শ্রোতা, যার কাছে মন খুলে পরচর্চা করা যায়।
সবজান্তা নারী
এরা হলো জীবন্ত বিশ্বকোষ। মহাজগতের সবকিছুই যেন জেনে বসে আছেন তারা। তাই অহঙ্কারে এদের মাটিতে পা পড়ে না। তাই এদের সঙ্গে কথা বলে কোনো শান্তি পাবেন না। যে কোনো বিষয় নিয়ে, যে কোনো স্থানে তারা আপনার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়বে। আপনি রণে ভঙ্গ দিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করা না পর্যন্ত লড়াই চলতেই থাকবে। হতে পারে তারা সবজান্তা। কিন্তু তারা সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করে না। এছাড়া অন্যের আবেগকে মূল্য দিতে চায় না বলে এরকম মেয়ের সান্নিধ্যে আপনি সুখী হবেন না।
মুডি তরুণী
এরা এমনিতে ভালো- হাশিখুশিও থাকে খুব। কিন্তু এদের মুড বোঝা দায়। ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়-এই বসন্ত তো পরক্ষণেই শীত। তাই এদের মনের নাগাল পাওয়া দুষ্কর। এদের সঙ্গে কথা বলার আগে আপনাকে অন্তত একশবার চিন্তা করতে হবে। কারণ আপনি তো গণক নন। আর এরা একবার রেগে গেলে আপনার দফা রফা। মনের যত ঝাল আপনার ওপরই মেটাবে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। প্রেম বা বিয়ে যা-ই করুন না কেন, বুঝে শুনে সময় নিয়ে করুন।

নতুন ধরণের ভ্যাম্পায়ার তৈরি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় !!!


নতুন ধরণের ভ্যাম্পায়ার তৈরি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় !!!
ভ্যাম্পায়ার বলতে কি বুঝি আমরা? বিভিন্ন গল্প-সিনেমায় দেখা যায়, মানুষের মতো অবয়বের প্রাণী যারা সারা রাত জেগে থাকে এবং দিনভর ঘুমায়। তাদের আরো অনেক বৈশিষ্ট্য আছে বটে কিন্তু নিশাচরবৃত্তিটাই বেশি লক্ষণীয়। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এখন তৈরি হচ্ছে তেমনি নিশাচর আরেক ধরণের ভ্যাম্পায়ার। জানেন কি, এই ভ্যাম্পায়ার লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার নিজেরই পরিবারে!

কি করে তৈরি হচ্ছে এসব ভ্যাম্পায়ার আর তারা আসলে কেমন? আপনার বাড়িতে যদি থেকে থাকে টিনেজ অর্থাৎ তরুণ বয়সের কোনো সদস্য, তবে সম্ভাবনা আছে সেই এমন একজন ভ্যাম্পায়ার! একটু লক্ষ্য করলেই আপনি দেখতে পারবেন, সে আসলে ঘুমের নাম করে মোবাইল অথবা পিসি ব্যবহারে মত্ত! সাধারনত ছুটির দিনের আগের রাতে এমনটা করতে দেখা যায় তরুণদেরকে। এদেরকে ভ্যাম্পায়ার বলা হচ্ছে কেন? কারণ এভাবে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে গিয়ে নিশাচর হয়ে পড়ছে তারা।

বর্তমান সময়ে তরুণদের জীবনে আসলে ব্যক্তিগত সময় খুবই কম। পড়াশোনা, পরিবার এবং সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদেরকে। নিজস্ব সময় পাওয়ার জন্য তাদেরকে হয়ে যেতে হয় ভ্যাম্পায়ার। বাবা মা ঘুমিয়ে পড়লে মাথার ওপরে কাঁথা টেনে নেয় তারা, যাতে মোবাইল বা ল্যাপটপের আলো কেউ টের না পায়। এর পর নিজের মতো করে ইন্টারনেটে সময় কাটায় তারা। ব্রাউজ করতে করতে অনেকটা সময় কেটে যায়, দেখা যায় রাত শেষ হবার পথে।

১৫ বছর বয়সি ওয়েন লানাহানের বাবা মা তাকে রাত ১০ টার সময়ে রান্নাঘরে মোবাইল রেখে ঘুমাতে যেতে বাধ্য করে। কিন্তু সে কখনো কখনো মোবাইল নিয়ে যায় নিজের শোবার ঘরে। কাঁথার নিচে ল্যাপটপ লুকিয়ে রেখে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে,মিউজিক কম্পোজ করে, মোবাইল ব্যবহার করে মেয়েদের সাথে কথা বলে বা টেক্সট করে। অনেক সময়ে কোনো কারণ ছাড়াই ল্যাপটপে বসে সময় নষ্ট করে বলে স্বীকার করে সে।

গবেষকেরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, এখনকার তরুণরা যথেষ্ট ঘুম পাচ্ছে না, ফলে ভেঙ্গে পড়ছে তাদের স্বাস্থ্য। আর সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় রাতভর ল্যাপটপ নিয়ে জেগে থাকার কারনে দিনকে দিন আরও কমে যাচ্ছে তাদের ঘুম। এইভাবে রাত জেগে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এসব ব্যবহার করাটার আলাদা একটা নামও দিয়েছে তরুন প্রজন্ম, আর তা হলো “ভ্যাম্পিং”, অর্থাৎ ভ্যাম্পায়ারের মতো আচরণ। তাদের এই রাত জেগে থাকার ছবি তুলে তারা ইন্সটাগ্রামে তুলে দেয় #teen এবং #vamping হ্যাশট্যাগ দিয়ে।

তরুণরা আসলে কেন নিজেদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এভাবে রাত জেগে থাকছে দিনের পর দিন? কারণ একে তো তারা নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারছে না দিনের বেলায়, তার ওপর এই “ভ্যাম্পিং” কে দেখা হচ্ছে অন্যদের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় এবং আধুনিক করে তোলার পন্থা হিসেবে।

শোবার সময়ে তরুণদের কাছে মোবাইল বা ল্যাপটপ যে কোনো একটি থাকলেই তারা বারবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য চেক করতে থাকে। ব্যাপারটা একসময় নেশার মতো হয়ে যায়। ঘুম পেয়ে গেলেও নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার চিন্তায় তারা ল্যাপটপ বন্ধ করে ঘুমাতে পারে না। তাই তাদের এই “ভ্যাম্পিং” বন্ধ করতে হলে আসলে ঘুমানোর সময়ে ল্যাপটপ এবং ফোন বন্ধ করে শোবার ঘরের বাইরে রেখে যাওয়াটাই একমাত্র সমাধান।