Test Footer 2

নতুন ধরণের ভ্যাম্পায়ার তৈরি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় !!!


নতুন ধরণের ভ্যাম্পায়ার তৈরি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় !!!
ভ্যাম্পায়ার বলতে কি বুঝি আমরা? বিভিন্ন গল্প-সিনেমায় দেখা যায়, মানুষের মতো অবয়বের প্রাণী যারা সারা রাত জেগে থাকে এবং দিনভর ঘুমায়। তাদের আরো অনেক বৈশিষ্ট্য আছে বটে কিন্তু নিশাচরবৃত্তিটাই বেশি লক্ষণীয়। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এখন তৈরি হচ্ছে তেমনি নিশাচর আরেক ধরণের ভ্যাম্পায়ার। জানেন কি, এই ভ্যাম্পায়ার লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার নিজেরই পরিবারে!

কি করে তৈরি হচ্ছে এসব ভ্যাম্পায়ার আর তারা আসলে কেমন? আপনার বাড়িতে যদি থেকে থাকে টিনেজ অর্থাৎ তরুণ বয়সের কোনো সদস্য, তবে সম্ভাবনা আছে সেই এমন একজন ভ্যাম্পায়ার! একটু লক্ষ্য করলেই আপনি দেখতে পারবেন, সে আসলে ঘুমের নাম করে মোবাইল অথবা পিসি ব্যবহারে মত্ত! সাধারনত ছুটির দিনের আগের রাতে এমনটা করতে দেখা যায় তরুণদেরকে। এদেরকে ভ্যাম্পায়ার বলা হচ্ছে কেন? কারণ এভাবে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে গিয়ে নিশাচর হয়ে পড়ছে তারা।

বর্তমান সময়ে তরুণদের জীবনে আসলে ব্যক্তিগত সময় খুবই কম। পড়াশোনা, পরিবার এবং সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদেরকে। নিজস্ব সময় পাওয়ার জন্য তাদেরকে হয়ে যেতে হয় ভ্যাম্পায়ার। বাবা মা ঘুমিয়ে পড়লে মাথার ওপরে কাঁথা টেনে নেয় তারা, যাতে মোবাইল বা ল্যাপটপের আলো কেউ টের না পায়। এর পর নিজের মতো করে ইন্টারনেটে সময় কাটায় তারা। ব্রাউজ করতে করতে অনেকটা সময় কেটে যায়, দেখা যায় রাত শেষ হবার পথে।

১৫ বছর বয়সি ওয়েন লানাহানের বাবা মা তাকে রাত ১০ টার সময়ে রান্নাঘরে মোবাইল রেখে ঘুমাতে যেতে বাধ্য করে। কিন্তু সে কখনো কখনো মোবাইল নিয়ে যায় নিজের শোবার ঘরে। কাঁথার নিচে ল্যাপটপ লুকিয়ে রেখে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে,মিউজিক কম্পোজ করে, মোবাইল ব্যবহার করে মেয়েদের সাথে কথা বলে বা টেক্সট করে। অনেক সময়ে কোনো কারণ ছাড়াই ল্যাপটপে বসে সময় নষ্ট করে বলে স্বীকার করে সে।

গবেষকেরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, এখনকার তরুণরা যথেষ্ট ঘুম পাচ্ছে না, ফলে ভেঙ্গে পড়ছে তাদের স্বাস্থ্য। আর সোশ্যাল মিডিয়ার নেশায় রাতভর ল্যাপটপ নিয়ে জেগে থাকার কারনে দিনকে দিন আরও কমে যাচ্ছে তাদের ঘুম। এইভাবে রাত জেগে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এসব ব্যবহার করাটার আলাদা একটা নামও দিয়েছে তরুন প্রজন্ম, আর তা হলো “ভ্যাম্পিং”, অর্থাৎ ভ্যাম্পায়ারের মতো আচরণ। তাদের এই রাত জেগে থাকার ছবি তুলে তারা ইন্সটাগ্রামে তুলে দেয় #teen এবং #vamping হ্যাশট্যাগ দিয়ে।

তরুণরা আসলে কেন নিজেদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এভাবে রাত জেগে থাকছে দিনের পর দিন? কারণ একে তো তারা নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারছে না দিনের বেলায়, তার ওপর এই “ভ্যাম্পিং” কে দেখা হচ্ছে অন্যদের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় এবং আধুনিক করে তোলার পন্থা হিসেবে।

শোবার সময়ে তরুণদের কাছে মোবাইল বা ল্যাপটপ যে কোনো একটি থাকলেই তারা বারবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য চেক করতে থাকে। ব্যাপারটা একসময় নেশার মতো হয়ে যায়। ঘুম পেয়ে গেলেও নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার চিন্তায় তারা ল্যাপটপ বন্ধ করে ঘুমাতে পারে না। তাই তাদের এই “ভ্যাম্পিং” বন্ধ করতে হলে আসলে ঘুমানোর সময়ে ল্যাপটপ এবং ফোন বন্ধ করে শোবার ঘরের বাইরে রেখে যাওয়াটাই একমাত্র সমাধান।
Share on Google Plus

0 comments: