Test Footer 2

ফটোগ্রাফিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ !

ফটোগ্রাফিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ !

এই মুহুর্তে দেশের অন্যতম সেরা ক্রেজ হলো ফটোগ্রাফি। তরুন প্রজন্ম ঝুকছে ফটোগ্রাফির নেশায়। সহজলভ্য ক্যামেরা এবং সৃজনশীলতা বাংলাদেশের ফটোগ্রাফিকে দিয়েছে এক অন্যরকম রুপ। আগে বিদেশী ফটোগ্রাফারদের তোলা ছবি দেখেই দিন কাটিয়ে দিতে হতো কিন্তু এখন দেশীয় ফটোগ্রাফারের ছবিতে পরিপুনর্ থাকে সামাজিক নেটওয়ার্ক। আর বাংলাদেশেরই অনেক ফটোগ্রাফার ইতিমধ্যে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এগুলো সবই ভাল দিক। আর ফটোগ্রাফি হতে পারে নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। আর এই ফটোগ্রাফিকে করা যেতে পারে অনেক বড় একটি পেশা। আর অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন অনেকেই আজকাল নির্দ্দ্বিধায় ফটোগ্রাফিকে বেছে নিচ্ছে নিজের পেশা হিসেবে।

তবে পরিপক্কভাবে যদি ফটোগ্রাফিকে একমাত্র পেশা হিসেবে বেছে নেয়া হয় তবে এই ব্যাপারে কিছু জ্ঞান থাকার মুল্য অপরিসীম। বাংলাদেশে এর মধ্যেই ফটোগ্রাফি নিয়ে খুলে গিয়েছে অপার সম্ভাবনার দ্বার। ফ্যাশন ফটোগ্রাফি, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি, ফটো স্টোরি – এগুলো ফটোগ্রাফির কিছু রুপ মাত্র। প্রতিনিয়ত হচ্ছে নানা রকমের এক্সিবিশন আর নানা রকম প্রতিযোগিতা। এমনকি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও কোনভাবে পিছিয়ে নেই আমাদের দেশের ফটোগ্রাফিরা আর তার জন্য তাদের যেতে হচ্ছে দেশের বাইরে। আমাদের দেশের ছবি নিয়ে আসছে বড় বড় সব পুরস্কার। আর ইন্টারনেটের এই যুগে আন্তর্জাতিক এসব ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করা কোন ব্যাপারই না। ন্যাশনাল জিওগ্রাফী বা 500px এর মত নামকরা সংস্থাগুলো প্রতিনিয়ত আয়োজন করে যাচ্ছে নানা রকম প্রতিযোগিতার আর এসব প্রতিযোগিতায় অনলাইনেই অংশগ্রহন করা যায় এবং বেশীরভাগ সময়ে কোন ধরনের খরচ হয় না। সেই সাথে পালা দিয়ে দেশেও হচ্ছে নানা রকম ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। নানা বড় বড় প্রতিষ্ঠান ইদানীং স্পন্সর করতে রাজী হচ্ছে নানা রকমের এক্সিবিশন আর প্রতিযোগিতা। 

ফটোগ্রাফি ব্যাপারটাই হলো পুরোটা নিজের উপর বিশেষ করে নিজস্ব সৃজনশীলতার উপরে। একটা ক্যামেরা আর দেখার মত এক জোড়া চোখ – ফটোগ্রাফিতে আর তেমন কিছুই দরকার হয় না। ফ্রেমিং ব্যাপারটাই আসলে মুল জিনিষ এই ফটোগ্রাফিতে। ফ্রেমিং এর পরে আসে লাইটিং, সাবজেক্ট, ফটো স্টোরি ইত্যাদি। আমার মতে প্রতিটি ছবির থাকা উচিত একটা আলাদা গল্প।

ফটোগ্রাফি যখন পেশাঃ

ফটোগ্রাফি কিভাবে আপনার পেশা হতে পারে? অনেক ধরনের পেশাই হতে পারে একটি ক্যামেরা হাতে নিয়ে। তবে সাথে থাকতে হবে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং সৃজনশীলতা। যেমন ওয়েডিং ফটোগ্রাফি এই মুহুর্তে বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় একটি পেশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করে শুরুতে মাসে ২৫-৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে একটি পর্যায়ে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা খুব একটা কঠিন ব্যাপার হবে না। যদি ফটোগ্রাফিক স্কিল ভাল থাকে আর নিজের সুনাম বজায় রাখতে পারেন তাহলে অচিরেই পৌছে যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে।

ওয়েডিং ফটোগ্রাফির পরে আসে ফটো জার্নালিজম আর থিম ফটোগ্রাফি। এরপর আসতে পারে স্ট্রিট ফটোগ্রাফি। এমনকি অনলাইনে নিজের তোলা অসাধারন ছবিগুলো বিক্রি করা যায় অনায়াসেই। একটি ইউনিক ছবি সবারই পছন্দ আর ইন্টারনেটের বদৌলতে আপনার তোলা অসাধারন সব ছবি অনায়াসেই পৌছে যায় মানুষের কাছে। অনেক ওয়েবসাইট বাধাই করে এসব ছবি বিক্রি করে নানা ক্রেতার কাছে বেশ ভাল দামে। ফটোগ্রাফারদের উচিত বেশী করে আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহন করা। আর সবাই করছেও। কয়েকটি ভাল এক্সপোজিউর থাকলে এই পেশায় সাফল্যের শিখরে পৌছে যাওয়া কোন ব্যাপারই না।

এসবের পরেই আসে ফ্যাশন ফটোগ্রাফি এবং প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি। ফ্যাশন ফটোগ্রাফির কথা আর না বললেও চলবে কারন আপনারা ইতিমধ্যে সবই জানেন আর প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি হলো নানা রকম পন্যের ফটোগ্রাফি। সেটি কোন প্রতিষ্ঠানের পন্যের হতে শুরু করে অনলাইন শপ এর পন্যের জন্য হতে পারে কোন ছবি। নতুন নতুন পন্য গুলো সবচেয়ে ভাল অবস্থায় সবার সামনে তুলে ধরাই প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি। এগুলোর পরেও আরো থাকে ইভেন্ট ফটোগ্রাফি এবং অন্যান্য। মোট কথা এই পেশার বিশালত্ব অনেক বড়। কিন্তু তার জন্য থাকতে হবে বিশেষ কিছু জ্ঞান। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ডিগ্রীর দরকার না থাকলেও কিছু বেসিক ব্যাপার থাকে যেগুলো না জানলেই নয়। টেকনিক্যাল এসব ব্যাপার যদি ঠিক মত জানা থাকে আর সেই সাথে যতি অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে কিছু টিপস পাওয়া যায়, তাহলে আপনিও হয়ে উঠ্তে পারেন একজন পাকাপোক্ত ফটোগ্রাফার।
Share on Google Plus

0 comments: